মুক্তির পর ১০০ দিন পূর্ণ করলো বাংলার প্রেমের সফল ছবি 'মনপুরা'। চলচ্চিত্রটি মুক্তির প্রথম দিন থেকে এর নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, নায়ক চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা আহসানুল হক মিনু, সিনেমাটোগ্রাফার খসরু, সহকারী পরিচালক সুজন, আর্থিক সহায়তাকারী হুমায়ূন ফরিদী, তানভীন সুইটিসহ 'মনপুরা' সংশ্লিষ্ট প্রায় সবাইকেই বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, আনন্দ অনুষ্ঠান কিংবা সফলতা-বিফলতার তর্ক-বিতর্কে পাওয়া গেছে কোন না কোনভাবে। শুধু পাওয়া যায়নি মনপুরা'র পরী চরিত্রের রূপদানকারী নায়িকা মিলিকে। এই না পাওয়া নিয়ে নায়িকার ওপর খানিকটা নাখোশ নির্মাতা নিজেও। যদিও সেটা কখনও ফুটে উঠেনি তার আলাপে। শুধু এটুকু বলেছেন, যার যার কর্ম তার তার কাছে। এখানে জোর-জবরদস্তির কিছু নেই। অভিমান করারও কিছু নেই। আমি কখনও এমনটা ভাবি না, এই মানুষটাকে এতকিছু দিলাম অথচ সে আমাকে কিছুই দিল না কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো না। এগুলো আমার সিলেবাসে কখনও ছিল না। 'মনপুরা' কেন্দ্রিক বিভিন্ন আয়োজনে মিলিহীন গিয়াসউদ্দিন সেলিমের এমন অভিব্যক্তি অনেক যৌক্তিক। এদিকে মুক্তির পর থেকে মনপুরা'র সংঘবদ্ধ ইউনিট থেকে পরী (মিলি) ছিটকে পড়লেও এ ছবির শিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কথা রেখেছেন তিনি। যার ফল হিসেবে দেখা যায় গেল প্রায় দুই বছরে মাত্র একটি ধারাবাহিকে (ইট কাঠের খাঁচা) অভিনয় করেছেন তিনি। তাও সেটি মনপুরা'র আগেই শুরু করেছেন বলেই ছাড়তে পারেননি। এর বাইরে গেল দুই বছরে এমন অসংখ্য নাটকের অফার থাকলেও সেগুলো বিনীতভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন 'মনপুরা'র বাণিজ্যিক স্বার্থের কারণে। অথচ একই চলচ্চিত্রের চঞ্চল চৌধুরী 'মনপুরা'র বাণিজ্যিক বিষয়ের তোয়াক্কা না করে ঠিকই অভিনয় করেছেন পুরনো গতিতে। আবার মনপুরা'র প্রচারাভিযানে নির্মাতা সেলিমের পাশেও ছিলেন মাঝে মাঝে। যেটা আবার মিলি ছিলেন না একদমই। তার মানে এটুকু নিশ্চিত যে কোন কারণেই হোক নির্মাতা সেলিম বনাম নায়িকা মিলির মধ্যে একটা স্নায়ুযুদ্ধ বিরাজমান ছিল গত ১০০ দিনে। আর সেই স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটলো গেল সোমবার ঢাকা ক্লাবের ফ্যামিলি লাউঞ্জে। যেখানে সেলিম ও মনপুরা'র টিম মিলিত হয়েছেন ঘরোয়া আনন্দ আয়োজনে। অনেকটা উপস্থিত সবাইকে চমকে দিয়ে সবার শেষে এ আয়োজনে অংশ নেন মিলি। সেলিম তাকে ডেকে এক এক করে পরিচয় করিয়ে দেন মনপুরা'র সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের। যাদের অনেকেই মিলিকে পর্দার বাইরে বাস্তবে দেখেছেন এই প্রথম। এদিকে মিলি 'মনপুরা'র জন্য টানা দুই বছর নাটকের বাইরে থাকলেও সমপ্রতি আবার নাটকে অংশ নিচ্ছেন। মিলি জানান, তারিক আনাম খানের 'সূর্যমুখী' এবং রুহুল আমিনের 'রমিজের ববু' নামের দু'টি দীর্ঘ ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে তিনি ফিরছেন আবারও। তাহলে নতুন কোন ছবি? মিলি খানিক হেঁয়ালির হাসি হেসে বলেন, এখনও নয়। তেমন কোন সুযোগ হলে অবশ্যই করবো। অপেক্ষায় থাকলাম। ততক্ষণ নাটকটাই করি। অনেকদিন তো ছুটিতে ছিলাম।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment