নানা নাটকীয় ঘটনার পর অবশেষে অনন্ত-বর্ষার দাম্পত্য জীবনের সুখটা হাওয়ায়
মিলিয়ে গেল। একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, অভিযোগ প্রত্যাহার, ভুল
বোঝাবুঝির জন্য মিডিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেয়ার একদিন পরেই সংবাদ
সম্মেলন করে অনন্ত নিজেই জানালেন বর্ষার সঙ্গে তার সমঝোতার ভিত্তিতেই
ডিভোর্স হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত দু’জনই তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন। ৭ দিনের
মধ্যে এটা প্রত্যাহার না করা হলে তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। বর্ষা ২৫শে
মার্চ কলকাতা চলে যান। কি কারণে গিয়েছেন, কার কাছে গিয়েছেন এসব প্রশ্নের
উত্তর অনন্তর জানা নেই। তবে স্কাইপি’র মাধ্যমে কলকাতার শিবাজী পাঞ্জা নামে
একজনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন বলে অনন্তর কাছে ধরা পড়ে। বর্ষা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তবে
সেই ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ এবং মানসম্মানের দিকে তাকিয়ে অনন্ত নামটি গোপন
রাখতে চাইছেন। বর্ষা কলকাতায় চলে যাওয়ার পরের দিন গতকাল অনন্ত তার
কাকরাইলস্থ চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা মনসুন ফিল্মসে এক সংবাদ সম্মেলনের
মাধ্যমে বর্ষার সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার কথা জানান। অনন্ত বলেন,
বর্ষার সঙ্গে আমার পরিচয় ২০০৮ সাল থেকে। ২০১১ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর আমরা
বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকেই আমি লক্ষ্য করেছি বর্ষা ফ্রিডম লাইফ লিড করতে
চায়। যে কোন সময় সে বাসা থেকে বের হয়ে যেত। শপিংয়ে যেত। আমি ব্যবসা নিয়ে
ব্যস্ত থাকতাম বলে তার এই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতাম না। কিন্তু এই
স্বাধীনতার সুযোগে সে নানাজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতো। স্কাইপিতে কথা বলতো-
এগুলো আমি জানতাম না। এমন কি সে কলকাতার ছবিতে অভিনয় করবে এটাও জানি না।
আমি তার ল্যাপটপ চেক করে দেখি সে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের চারজনের
সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। বিভিন্ন নামে ফেসবুকে একাউন্ট করে তাদের সঙ্গে
চ্যাটিং করতো। এসব ধরা পড়ার কারণেই আমি বর্ষার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করি।
পরে সে জিডি করে। সেটা আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহারও করি এবং পত্রিকায়
বিবৃতি দেই। কিন্তু সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে ডিভোর্স চায়। আমরা
সমঝোতার ভিত্তিতে ডিভোর্স পেপারে সই করি। ভেবেছিলাম মাথা গরম করে সিদ্ধান্ত
নেয়া, পরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হঠাৎ করে কাউকে না বলে একা একা কলকাতা চলে
যাওয়ার পর আমার মনে হয়েছে ডিভোর্সের ব্যাপারটা সবাইকে জানানো দরকার।
অনন্ত বলেন, বর্ষার সঙ্গে আমার এখন আর কোন সম্পর্ক নাই। তবে সে আমার ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবির নায়িকা। যদি মনে করি ছবিটা বানাবো তাহলে বর্ষাই থাকবে নায়িকা। বর্ষা যদি ভুল বুঝে ফিরে আসে তখন তাকে গ্রহণ করবেন কিনা প্রশ্নের জবাবে অনন্ত বলেন, সেই সুযোগ আর নেই। শেষ কথা বর্ষা এখন আর আমার স্ত্রী নয়। আমাদের মাঝে ডিভোর্স হয়ে গেছে।
অনন্ত বলেন, বর্ষার সঙ্গে আমার এখন আর কোন সম্পর্ক নাই। তবে সে আমার ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবির নায়িকা। যদি মনে করি ছবিটা বানাবো তাহলে বর্ষাই থাকবে নায়িকা। বর্ষা যদি ভুল বুঝে ফিরে আসে তখন তাকে গ্রহণ করবেন কিনা প্রশ্নের জবাবে অনন্ত বলেন, সেই সুযোগ আর নেই। শেষ কথা বর্ষা এখন আর আমার স্ত্রী নয়। আমাদের মাঝে ডিভোর্স হয়ে গেছে।
No comments:
Post a Comment