চলচ্চিত্রে চৈতীর পর্দা অভিষেক ২রা বৈশাখ


লাক্স চ্যানেল আই ২০০৮-এর বিজয়ী চৈতী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মধুমতি’। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ছবিটি আগামী ২রা বৈশাখ মুক্তি পাচ্ছে। আর এরই মধ্য দিয়ে বড় পর্দয় অভিষেক হতে যাচ্ছে চৈতীর। একই সঙ্গে ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে চ্যানেল আই’তে। কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘মধুমতি’ পরিচালনা করেছেন শাহজাহান চৌধুরী। এতে চৈতীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ। প্রথম এই চলচ্চিত্র নিয়ে চৈতীর প্রত্যাশা অনেক। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে বেশ অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে চৈতী বলেন, চৈত্র দিনের শেষে বাংলা নববর্ষের শুরুতে নতুন বছরের সঙ্গে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করছি। আর আমার সঙ্গে রয়েছেন কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, পরিচালক শাহজাহান চৌধুরী, জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। সবার ছায়ায় আমার শুরুটা আশা করছি ভাল হবে। চৈতী আরও বলেন, রিয়াজ ভাই একজন সুপারস্টার আর আমি একেবারেই নবীন অভিনেত্রী। স্বাভাবিক কারণেই আমি বেশ জড়তায় ভুগছিলাম। রিয়াজ ভাইয়ের প্রাণখোলা ব্যবহারের কারণে সেই জড়তা কাটিয়ে উঠতে আমার খুব বেশি সময় লাগেনি। নবীন অভিনেত্রী হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে আমার ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে। কিন্তু কখনও রিয়াজ ভাইকে বিরক্ত হতে দেখিনি। একবারের জায়গায় তিনবার এসে তিনি শট দিয়েছেন। তার দেয়া সাজেশন আমার কাজে লেগেছে। ‘মধুমতি’ ছবির শুটিং নিয়ে চৈতী বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় লেগেছে ছবিটির কাজ শেষ করতে। ঋতু বৈচিত্র্য ও আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য নানান জায়গায় ছবির শুটিং হয়েছে। কখনও নবাবগঞ্জ, কখনও বিক্রমপুর, কখনও পূবাইলে গ্রামবাংলার সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে দেখেছি। শুটিংয়ের সময়ে এমন অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটেছে যা বলে শেষ করা যাবে না। ছবিতে চৈতী অভিনয় করেছেন মিনা চরিত্রে। এই কঠিন একটি চরিত্র অভিনয় দিয়ে মোটামুটি পার হয়ে এসেছেন চৈতী। কিন্তু কণ্ঠ অভিনয় অর্থাৎ ডাবিং নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় একসময়। এ প্রসঙ্গে চৈতী বলেন, আমার কণ্ঠ বেশি চিকন। ডাবিংয়ে গিয়ে মনে হলো চরিত্রানুযায়ী কণ্ঠে গাম্ভীর্য আসছে না। একপর্র্যায়ে পরিচালককে আমি অনুরোধ জানাই অন্য কাউকে দিয়ে ডাবিং করানোর জন্য। সেই অনুযায়ী অন্য কাউকে দিয়ে ডাবিং করানো হয়। কিন্তু অন্য কেউ ডাবিং করলে অভিনয়টা ভাল লাগছিল না বলে অবশেষে আমাকেই সেই ডাবিং করতে হয়েছে। অবশ্য ডাবিং শেষ হওয়ার পর যখন ছবিটি দেখলাম তখন মনে হলো পণ্ডশ্রম হলো না। ‘মধুমতি’ ছবি নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে চৈতী বলেন, এটি গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত সাহিত্যনির্ভর একটি চলচ্চিত্র। আমার মনে হয় এ ছবিটি যারা দেখতে আসবেন তাদের ভাল লাগবে। আর দর্শকের কাছে যদি ছবিটি ভাল লাগে তবেই আমার সার্থকতা। নিয়মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন কিনা জানতে চাইলে চৈতী বলেন, রুচিশীল চলচ্চিত্রের সঙ্গে থাকতে চাই। কাজ করলে এভাবেই করতে চাই। তাছাড়া আমি এখনও পড়াশোনা করছি। শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটিতে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ফোর্থ ইয়ারের ছাত্রী। এ মুহূর্তে আমি পড়াশোনাকেই বেশি প্রধান্য দিচ্ছি। পড়াশোনা শেষ হলে ছোটপর্দা এবং বড়পর্দায় অভিনয়টা নিয়মিত করবো। উল্লেখ্য, চৈতী অভিনীত বর্তমানে প্রচার চলছে ‘হাতের রেখা কথা বলে’, ‘ফানুস’, ‘ইকারুসের ডানা’সহ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক।

No comments:

Post a Comment