গত ২১ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র 'মেহেরজান'। মুক্তির পর থেকেই ছবিটিকে ঘিরে চলছে নানা বিতর্ক। বিশেষ করে, একজন পাকিস্তানি সৈন্যের সঙ্গে বাঙালি মেয়ের প্রেম, মুক্তিযুদ্ধকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা, জয়া বচ্চন ও ভিক্টর ব্যানার্জির অভিনয়সহ বিভিন্ন বিষয় এখন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।। হলগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দর্শকরা বেশ আগ্রহ নিয়েই ছবিটি দেখছে। 'মেহেরজান' একটি যুদ্ধ-মৃত্যু-ভালোবাসা ও প্রেরণার গল্প। এক বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুর কাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের অনেক বছর পর যুদ্ধশিশু সারাহ তার ইতিহাস জানতে আসে মেহেরের কাছে। এই জানতে চাওয়া ইতিহাসকে ৩৮ বছর পর নতুন করে ফিরে দেখে মেহের। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের রাতে আরও অনেকের মতো মেহেরও তার পরিবারের সঙ্গে ঢাকা থেকে পালিয়ে তার মায়ের গ্রামে, নানাবাড়িতে পেঁৗছে। এই ছবির পটভূমি সেই গ্রাম। সেই গ্রামেই পালিয়ে থাকা এক আহত ও স্বপক্ষত্যাগী-যুদ্ধবিরোধী বালুচ সৈন্যের সঙ্গে প্রেম হয় মেহেরের। অন্যদিকে পাকিস্তানি সৈন্যরাই তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে তার বোন নীলাকে। আর দশটা বাঙালি মেয়ের মতো নীলা ধর্ষিত হওয়া নিয়ে গল্গানি বোধে ভোগে না, সে চলে যায় যুদ্ধে নিজের হাতে পাক সেনা খতম করবে বলে। এই প্রেমের জন্য পরবর্তী সময়ে সমাজের কাছ থেকে মেহের যে ধিক্কার পায় তা কলঙ্কের মতো বহন করে সে। সারার উপস্থিতি আর ইতিহাসের পুনব্যাখ্যার মধ্য দিয়েই এতদিন পর সে জীবনের নতুন মানে খুঁজে পায়, গল্গানি আর লজ্জা মুক্ত হয়। একই সঙ্গে প্রেম ও ঘৃণার এই বাস্তবতাকে নারীর দৃষ্টিতে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। উঠে এসেছে কিছু প্রশ্ন, মেহেরের এই আনাড়ি প্রেমের সঙ্গে সম্পর্ক কী রাজনীতির, নাকি যুদ্ধের? আবার দেখা যায়, দেশ রক্ষার এই যুদ্ধে নানাজানের একটি মানবিক ও আধ্যাত্মিক অবস্থান প্রশ্নসাপেক্ষ। আসলে নানাজান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না বিপক্ষে সেটা ছবিতে স্পষ্ট নয়। আবার পাকিস্তানি সৈন্যকে একজন মুক্তিযোদ্ধা পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এটা নিয়েও তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, 'ছবিটি আমি দেখিনি। তবে যারা দেখেছেন তাদের অনেকে ফোন করে বলেছে, ছবিতে বিতর্কিত বিষয় আছে। পাকিস্তানি সৈন্যের সঙ্গে বাঙালি মেয়ের প্রেম সমালোচনা করা হচ্ছে। ভালোবাসা যে কারো সঙ্গে হতে পারে। এটা নিয়ে এত আলোচনা করার কিছু দেখি না।'
ছবিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া বচ্চন। গত বছর তিনি বাংলাদেশে এসে এর কাজ করেন। নির্মাতা প্রথমে এ চরিত্রে চম্পাকে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তারপর অভিনয় করার কথা ছিল কবরীর। কিন্তু নানা কারণে তা আর হয়নি। অবশেষে ই-মেইলে জয়া বচ্চনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচালক সম্মতি নেন। যদিও জয়া বচ্চনকে চুক্তিবদ্ধ করার আগেই ছবির শুটিং শুরু করেছিলেন রুবাইয়াত। তিনি বলেন, 'আসলে প্রথম বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী নিয়েই কাজ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পারিনি।। কারণ তার চেহারায় বাঙালি ভাব আছে। চরিত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো অভিনয় করেছেন তিনি।'
অন্যদিকে 'মেহেরজান' ছবিতে অভিনয় করেছেন ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি। তিনি ছবিতে মেহেরের নানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গ্রামের মাতব্বর হলেও মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেন। তবে গ্রামে কোনো রক্তপাত চান না। তার ভাবনায় রক্তপাতহীন একটি গ্রাম।
'মেহেরজান' ছবির পরিচালক বলেন, "ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায় অধ্যয়নকালে আমি গবেষণার বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম বীরাঙ্গনা ও একাত্তরে নারীর ভূমিকা।। এটি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত মূলত ভালোবাসার গল্প, যে ভালোবাসা দিয়ে যুদ্ধের নৃশংসতা, ঘৃণা ও হানাহানির পথ অতিক্রম করে শান্তি ও সহমর্মিতা, মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব ও প্রেমের পথ উন্মোচন করা যায়। ছবিটি নিয়ে আমার যে প্রত্যাশা সেটা পূরণ করার জন্য এখন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ছবিটি ভালো না মন্দ সেটা দর্শকই বিচার করবেন।" এখন সারাদশের ছয়টি প্রেক্ষাগৃহে এর প্রদর্শনী চলছে মেহের তার মা নীলার খালাতো বোন সে ক্ষেত্রে জয়া বচ্চনের কাছে প্রস্তাব পাঠাই সেখানকার অভিজ্ঞতাই ছবিতে দেখানোর চেষ্টা করেছি
ছবিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া বচ্চন। গত বছর তিনি বাংলাদেশে এসে এর কাজ করেন। নির্মাতা প্রথমে এ চরিত্রে চম্পাকে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তারপর অভিনয় করার কথা ছিল কবরীর। কিন্তু নানা কারণে তা আর হয়নি। অবশেষে ই-মেইলে জয়া বচ্চনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচালক সম্মতি নেন। যদিও জয়া বচ্চনকে চুক্তিবদ্ধ করার আগেই ছবির শুটিং শুরু করেছিলেন রুবাইয়াত। তিনি বলেন, 'আসলে প্রথম বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী নিয়েই কাজ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পারিনি।। কারণ তার চেহারায় বাঙালি ভাব আছে। চরিত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো অভিনয় করেছেন তিনি।'
অন্যদিকে 'মেহেরজান' ছবিতে অভিনয় করেছেন ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি। তিনি ছবিতে মেহেরের নানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গ্রামের মাতব্বর হলেও মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেন। তবে গ্রামে কোনো রক্তপাত চান না। তার ভাবনায় রক্তপাতহীন একটি গ্রাম।
'মেহেরজান' ছবির পরিচালক বলেন, "ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায় অধ্যয়নকালে আমি গবেষণার বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম বীরাঙ্গনা ও একাত্তরে নারীর ভূমিকা।। এটি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত মূলত ভালোবাসার গল্প, যে ভালোবাসা দিয়ে যুদ্ধের নৃশংসতা, ঘৃণা ও হানাহানির পথ অতিক্রম করে শান্তি ও সহমর্মিতা, মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব ও প্রেমের পথ উন্মোচন করা যায়। ছবিটি নিয়ে আমার যে প্রত্যাশা সেটা পূরণ করার জন্য এখন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ছবিটি ভালো না মন্দ সেটা দর্শকই বিচার করবেন।" এখন সারাদশের ছয়টি প্রেক্ষাগৃহে এর প্রদর্শনী চলছে মেহের তার মা নীলার খালাতো বোন সে ক্ষেত্রে জয়া বচ্চনের কাছে প্রস্তাব পাঠাই সেখানকার অভিজ্ঞতাই ছবিতে দেখানোর চেষ্টা করেছি
No comments:
Post a Comment