ঢাকার প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর অভিনেতা সাইফুদ্দিন আর নেই। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থ থাকার পর সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে গভীর শোক নেমে আসে।
সাইফুদ্দিনের মৃত্যুতে শোক
আমি অসংখ্য ছবিতে গুণী এই মানুষটির সঙ্গে অভিনয় করেছি। তিনি ছিলেন আমার প্রিয় একজন মানুষ। তার হঠাত্ প্রয়াণে ব্যথিত হয়েছি। আর খারাপ লাগছে দীর্ঘদিনের সহকর্মীর খোঁজখবর অনেক দিন নেইনি বলে। তার মৃত্যু সংবাদের খোঁজ পেলাম। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
................ রাজ্জাক
................ রাজ্জাক
বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রের অভিনেতা সাইফুদ্দিন ভাই। ‘মুখ ও মুখোশ’ ছবির মাধ্যমে ১৯৫৬ সালে চলচ্চিত্রে তার পথচলা শুরু। তার তিনবছর পর আমি চলচ্চিত্রের পথে হাঁটতে শুরু করেছি। ১৯৫৯ সালে আমি প্রথম অভিনয় করি ফতেহ লোহানীর পরিচালনায় ‘আসিয়া’ ছবিতে। ১৯৬৩ সালে আমি সাইফুদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে ‘নাচঘর’ ছবিতে অভিনয় করেছি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ঢাকার বাংলা চলচ্চিত্রের জনক এবং সাইফুদ্দিন ভাইয়ের ভগ্নিপতি আবদুল জব্বার খান। সেই একটি ছবিতেই সারা জীবনে আমি সাইফুদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছি। সেই সময়ে চলচ্চিত্রটিতে আমরা বেশ হৈচৈ করে কাজ করেছিলাম। যা আমার এখনও চোখের সামনে ভেসে উঠছে। অনেক মজার মানুষ ছিলেন তিনি।
................ শবনম
খুব অবাক লাগে যে সাইফুদ্দিনের মতো কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা বড় কোনো সম্মাননা ছাড়াই মারা গেলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম সবাক ছবি মুখ ও মুখোশের শিল্পী। এ জন্যও তাকে রাষ্ট্রীয় এবং সিনেমার মানুষের ভিন্ন সম্মান দেয়া উচিত ছিল জীবদ্দশায়। কিন্তু তিনি কেমন ছিলেন তাই হয়তো অনেকে জানত না। শিল্পী হিসেবে এমন একটা অভিমান নিয়ে তিনি মারা গেলেন। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
................ সোহেল রানা
আমি যখন বেবী হেলেন তখন থেকেই সাইফুদ্দিন সাহেবের সঙ্গে কাজ করেছি। নায়িকা হওয়ার পরও অনেক ছবিতে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিনি গুণী একজন মানুষ। কৌতুকাভিনয়ে এমন গুণী শিল্পী আর কবে আসবে জানি না। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর তার পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা
................ সুচরিতা
খবরটি শুনেই খারাপ লেগেছে। অনেক ছবিতে তার সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি কৌতুকাভিনয়কে ভিন্ন একটি মাত্রা দিয়েছিলেন। আমি তার কাছ থেকে অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি। তিনি এক কথায় গুরু শ্রেণীয় শিল্পী ছিলেন। দুঃখ লাগছে এই ভেবে যে, তিনি অসুস্থ সেটাই আমরা অনেকে জানতাম না। তার মৃত্যু সংবাদ হঠাত্ শোনার পর নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে। তারপরও তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
...... ইলিয়াস কাঞ্চন
সাইফুদ্দিন আমার প্রিয় একজন অভিনেতা। তার মৃত্যু সংবাদ আমাকে ব্যথিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে কারও কোনো যোগাযোগ ছিল না। যে কারণে জানতেও পারিনি তিনি কেমন ছিলেন। হয়তো এ কারণে খারাপ লাগাটা আরও বেড়েছে। সাইফুদ্দিনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইল। আর দোয়া করি তার পরিবার যেন এই শোক দ্রুত কাটিয়ে ওঠে। সাইফুদ্দিনের আত্মা যেন শান্তি পায়।
................ চম্পা
খুব অবাক লাগে যে সাইফুদ্দিনের মতো কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা বড় কোনো সম্মাননা ছাড়াই মারা গেলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম সবাক ছবি মুখ ও মুখোশের শিল্পী। এ জন্যও তাকে রাষ্ট্রীয় এবং সিনেমার মানুষের ভিন্ন সম্মান দেয়া উচিত ছিল জীবদ্দশায়। কিন্তু তিনি কেমন ছিলেন তাই হয়তো অনেকে জানত না। শিল্পী হিসেবে এমন একটা অভিমান নিয়ে তিনি মারা গেলেন। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
................ সোহেল রানা
আমি যখন বেবী হেলেন তখন থেকেই সাইফুদ্দিন সাহেবের সঙ্গে কাজ করেছি। নায়িকা হওয়ার পরও অনেক ছবিতে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিনি গুণী একজন মানুষ। কৌতুকাভিনয়ে এমন গুণী শিল্পী আর কবে আসবে জানি না। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর তার পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা
................ সুচরিতা
খবরটি শুনেই খারাপ লেগেছে। অনেক ছবিতে তার সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি কৌতুকাভিনয়কে ভিন্ন একটি মাত্রা দিয়েছিলেন। আমি তার কাছ থেকে অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি। তিনি এক কথায় গুরু শ্রেণীয় শিল্পী ছিলেন। দুঃখ লাগছে এই ভেবে যে, তিনি অসুস্থ সেটাই আমরা অনেকে জানতাম না। তার মৃত্যু সংবাদ হঠাত্ শোনার পর নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে। তারপরও তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
...... ইলিয়াস কাঞ্চন
সাইফুদ্দিন আমার প্রিয় একজন অভিনেতা। তার মৃত্যু সংবাদ আমাকে ব্যথিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে কারও কোনো যোগাযোগ ছিল না। যে কারণে জানতেও পারিনি তিনি কেমন ছিলেন। হয়তো এ কারণে খারাপ লাগাটা আরও বেড়েছে। সাইফুদ্দিনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইল। আর দোয়া করি তার পরিবার যেন এই শোক দ্রুত কাটিয়ে ওঠে। সাইফুদ্দিনের আত্মা যেন শান্তি পায়।
................ চম্পা
আমার প্রিয় একজন মানুষ সাইফুদ্দিন ভাই। আমাদের দু’জনে একসঙ্গে হলেই আশপাশ বেশ জমে উঠতো। তবে একসঙ্গে খুব বেশি ছবিতে আমরা অভিনয় করিনি। তারপরও যে কয়টি করেছি তাতে শুটিংয়ের সময় আশপাশ জমে উঠতো। বিশেষভাবে বিভিন্ন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা হয়েছে অনেক। উনি কথা বললেই সেটাকে বেশ সাবলীল মনে হতো। জোর করে কিছু করা লাগতো না তার। এমনিতেই মজা পেয়ে যেতো দর্শক।
............... আনিস
No comments:
Post a Comment