কোন ঘটনা না ঘটার পরও শাকিব-পূর্ণিমাকে নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পে তুলকালাম কাণ্ড ঘটার নেপথ্যে কাজ করেছিল একটি টেলিফোন। গত ২৮শে মার্চ পূর্ণিমা যখন রাত সাড়ে ১১টায় পূবাইলের সায়রাকান্ট্রি ক্লাব থেকে শুটিং শেষ করে হাসিমুখেই চলে আসেন তখন পর্যন্ত কোন ঘটনাই ঘটেনি। ওইদিন ছিল শাকিব খানের জন্মদিন। পূর্ণিমা চলে আসার পর আরও ১৫ মিনিট শাকিব খান এবং কাজী হায়াৎ শুটিং করেন। তারপর কাটা হয় জন্মদিনের কেক। পরদিন সকাল থেকে যে অপপ্রচার শুরু হয় তার নেপথ্যে কাজ করেছে একটি টেলিফোন। শাকিবের সহকারী পরিচয় দিয়ে মধ্যরাতে ফোন করে পূর্ণিমাকে অনেক আজে-বাজে কথা বলেন কোন একজন। শাকিবের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও চাপ দেন। পূর্ণিমা এত রাতে ফোন করার জন্য বিরক্ত হন এবং ছবির কাজ করবেন না বলে তখনই ফোন করে জানিয়ে দেন পরিচালক বদিউল আলম খোকনকে। পূর্ণিমা তার ঘনিষ্ঠ একজন পরিচালকের কাছে স্বীকার করেছেন ফোনের ঘটনাটা। তবে কে ফোন করেছে তার নাম বলেননি, এমনকি ফোন নম্বরটিও দেননি। এটা শোনার পর পূর্ণিমার সব ঘনিষ্ঠজনের একটাই প্রশ্ন, ফোন করেছিল কে? সেদিন পূবাইলে শাকিবের কোন সহকারী উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে পূর্ণিমা-শাকিবের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি, সম্পর্ক নষ্ট, কিংবা নতুন জুটি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করলো কে? এক্ষেত্রে কি কারও ইন্ধন ছিল? শাকিব-পূর্ণিমা জুটি না হলে লাভবান হবেন কে? যে ফোন ধরেছেন তার প্রকৃত পরিচয় কি? এসব কিছু উদ্ধার করতে পারলেই সকল প্রশ্নের উত্তরটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা মন্তব্য করেছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment